শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সেখানে শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাতটার কিছু পরে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমরা আপ্লুত ও গর্বিত বোধ করছি। এখানে ভাবগম্ভীর পরিবেশে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি। স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা বজায় রাখা দরকার।’
১৪ ডিসেম্বর জাতির ইতিহাসে এক বেদনাঘন দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং ৭টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, উদীচী, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, খেলাঘরসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন পৃথক কর্মসূচি নিয়েছে।