প্রথম বাংলা ডেস্কঃ উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয়ভাব গাম্ভীর্যের সাথে রাজধানীর উত্তরায় চারদিন ব্যাপী মহানামযজ্ঞ ও ধর্মলীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর উত্তরা সার্বজনীন কীর্তন উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে ২২ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক ভক্ত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে এই উৎসবে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে ২২ই ডিসেম্বর শ্রীমদ্ভগবতগীতা থেকে পাঠ, ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রী শ্রী সত্যনারায়ন পূজা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন প্রভৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন শ্রী সুশান্ত চক্রবর্তী। অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন কানাই লাল সম্প্রদায়, নরসিংদী ও কীর্তন মেলা পরিচালনা করেন শুভ নিতাই দাস ব্র²চারী, ইসকন, উত্তরা, ঢাকা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শ্রীমতি বিনা রায় বিশ্বাস, সত্যনারায়ন পূজা পরিচালনা করেন প্রকৌশলী অজয় কুমার ও শ্রীমদ্ভগবতগীতা থেকে পাঠ করেন বাবু নুপুর চক্রবর্তী। কীর্তন অনুষ্ঠান এর উদ্বোধন করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি (উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানা) এর প্রধান উপদেষ্টা শ্রী দিলীপ কাজুড়ী। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন বৃহত্তর উত্তরা কীর্তন পরিষদ এর প্রধান উপদেষ্টা শ্রীমতি আলপনা সাহা।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের আজমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কীর্তন অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত কীর্তনিয়া দল ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৫ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কীর্তন পরিবেশন করেন।
ষোড়শপ্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্র² মহানামযজ্ঞ পরিবেশন করেন ভাগ্যশ্রী সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা, বঙ্কুবিহারী সম্প্রদায়, ঢাকা, নব অঞ্জলী সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ, অদ্বৈত সম্প্রদায়, খুলনা, মা ভবতারিনী সম্প্রদায়, খুলনা, দুর্গাময়ী সম্প্রদায়, খুলনা থেকে আগত দল সমূহ। অহোরাত্র ধর্মলীলা কীর্তন পরিবেশনায় ছিলেন শ্রীমতি অঞ্জলি সরকার. সাতক্ষীরা, শ্রীমতি সুপ্রিয়া সরকার, হিলি, শ্রীমতি অনুরাধা মল্লিক, ভারত।
কীর্তন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আহব্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শ্রী পরিমল কুমার সোম এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন প্রকৌশলী অজয় কুমার। প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন অমিত কুমার দাশ, আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, সাবেক প্রচার-সম্পাদক, উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন টপ জিন্স লি: এর চেয়ারম্যান শ্রীমতি কবিতা বসু। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তবৃন্দ এবং বৃহত্তর উত্তরাস্থ সকল মন্দির ও কীর্তন কমিটি, পূজা কমিটি ও সকল সকল স্তরের সনাতনিদের সার্বিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহন এবারের কীর্তনে নতুন মাত্রা যোগ হয়।