প্রথম বাংলা রিপোর্ট || বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত দুটি প্যানেলের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে বর্তমান কমিটি মিশা-জায়েদ প্যানেল, অন্যটি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। সংবাদ সম্মেলন করে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচনে জয়ী হলে কী করবেন জানিয়েছেন সে কথা। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের শিল্পীরা অনুদানের টাকায় নয়, কাজ করে বেঁচে থাকবে- সে ব্যবস্থা করতে চাই। এটাই হবে আমাদের প্রথম কাজ। শিল্পীদের কেন মানুষ ‘দুস্থ’ বলবে। আমরা অনেক সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেবো। নিপুণরা আমার কাছে এসে বললো, দীর্ঘদিন যারা এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই নেতৃত্বের মধ্যে অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটা রেষারেষি হচ্ছে, মনোমালিন্য হচ্ছে। এই মনোমালিন্য যদি চলচ্চিত্রে থাকে তাহলে তো উন্নয়ন হবে না। আমি বিষয়গুলো ভেবেই নির্বাচনে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আমাদের সিনেমার জন্য কিছু করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর ভালো লাগার একটা জায়গা বিএফডিসি। জাতির জনকের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই এফডিসি। নিপুণরা এসে বলেছে আপনার মতো মানুষকে আমাদের লাগবে। এখানে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। ওদের এসব কথা ভেবেই রাজি হয়েছি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা পদে আছেন। ৩০ বছর পরে কেন নির্বাচনে এলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি ৩৩ বছর আগে সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সে সময় ভোটে জেতার জন্য যে কষ্ট করতে হয়েছে, সত্যি কথা বলতে তখন আমি রীতিমত কানে ধরেছিলাম- আর নির্বাচন করবো না। আমার কাছে মনে হয় একটা মানুষ যদি ভোট চাইতে গিয়েই টায়ার্ড হয়ে যায় তাহলে কাজ করবে কী করে? সেই সময় কিন্তু শিল্পী সমিতির ফান্ড রেখে এসেছিলাম ৩ লক্ষ টাকা। আমার ছেলে জয়ের কথায় আসছি। আমি আমার ছেলেকে বলি উপদেষ্টা। সে-ও উৎসাহ দিয়ে বলেছে, ‘বাবা শিল্পী সমিতি থেকে তোমার তো কিছু নেওয়ার নেই। তুমি যে পর্যায়ে গেছ সেখান থেকে চিন্তা করলে এই সংগঠনের সভাপতি হওয়া তোমার জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কিন্তু তুমি তো ওখান থেকেই এসেছ। তুমি দেশের জন্য এত কিছু করছ, যে জায়গা থেকে এসেছ সেই জায়গার মানুষগুলোকেও যদি একটা কিছু করে দিতে পারো’।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু ও পরিচালক বদিউল আলম খোকন, রিয়াজ, ফেরদৌস, সাইমন, ইমন, নিরব, নূতনসহ অনেকেই।