প্রথম বাংলা, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট:
পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক উসকে দেওয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। (সমকামিতার মতো) কিছু বিতর্কিত-অবৈধ প্রেকটিস উসকে দিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অমূলক বললেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন লনে আয়োজিত চা-চক্র শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা একেবারে অযাচিত বিষয়।
এর সঙ্গে টেক্সবুকের কোনো সংযোগ নেই, তবে বিষয়টি যেহেতু ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল, তাই আমরা ইসলামী চিন্তাবিদদের নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা আমাদেরকে জানাবে সংবেদনশীলতার দিক থেকে এটি কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে। ওই বয়সে শিক্ষার্থীরা এসব কনসেপ্ট শেখার উপযোগী কি না তাও তারা জানাবে। যেহেতু এই বয়সে শিক্ষার্থীদের শারীরিক একটি বড় ধরনের পরিবর্তন হয়। আমরা এনসিটিবি ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের থেকেও এ বিষয়ে অভিমত নেব।
তিনি আরো বলেন, যারা পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক উসকে দিচ্ছে তাদের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। তাই অপরাজনীতিকারীরা তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সমালোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের যে অভিযোগ, তা অপরাজনীতির প্রয়াস।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। এ বিষয়ে তাদের পরিচালনায় যারা আছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। নেতৃত্ব, দক্ষতা, সৃষ্টিশীলতার জন্য ডাকসুর প্রয়োজন আছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারীদের নিয়ে চা-চক্রের আয়োজন করেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।